চকরিয়ায় মৃত্যু শয্যার রোগী হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি: বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন

চকরিয়া প্রতিনিধি :

তুচ্ছ ঘটনার জেরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামকে মামলায় আসামী করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এমন কী মামলা থেকে রক্ষা পায়নি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত তার এক আপন সহোদরও।
কোন তদন্ত ছাড়াই চকরিয়া থানার ওসি প্রতিপক্ষের যোগসাজসে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার বিকেলে চকরিয়া শহরে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে যুবলীগ সভাপতির শিশুপুত্রের একটি কর্ক নুরন্নবী নামের এক ব্যক্তির গায়ে পড়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে যুবলীগ সভাপতি ও তার ক্যানসার আক্রান্ত ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ জম্মেছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা যুবলীগ সহ বিভিন্নমহল। মানববন্ধন থেকে দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সুস্থ তদন্তের দাবী জানান বক্তারা। মানববন্ধনে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সরওয়ার আলম, মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা পরিমল বড়ুয়া, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিমসহ শতশত নারী পুরুষ অংশ নেন।

যুবলীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার ৫ বছরের শিশু পুত্র ইয়াদের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে ছেলে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, একই ভবনের ভাড়াটিয়া নুরন্নবী তার ছেলেকে মারধর করেছে। বাসার নিচে একটি চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় নুরন্নবীর কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। এতে মারাত্মকভাবে আহত হই আমি। এরপরেই আমি বাসায় চলে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে জানলাম নুর নবীকে হামলা করেছি বলে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম মনুকে আসামী করা হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। অথচ তাকেও মামলায় দেয়া হয়েছে।
যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন।জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তক্রমে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক এর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম পরিকল্পিতভাবে থানার ওসিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করিয়েছেন। অতি উৎসাহী হয়ে এ মামলাটি নিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি।

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত নয় এমন কেউ আসামি হয়ে থাকলে, তদন্ত সাপেক্ষ চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হবে।##